তদন্ত ছাড়াই ছাঁটাই: সরকারি চাকরি আইনে সংশোধনের প্রস্তাব
আপলোড সময় :
২৪-০৪-২০২৫ ০৫:১১:০০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৪-০৪-২০২৫ ০৫:১১:০০ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ সরকার সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধনের পরিকল্পনা করছে, যার মাধ্যমে দাপ্তরিক কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত ছাড়াই ৮ দিনের নোটিশে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিধান অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে পেশাগত দ্বন্দ্ব, কিছু কর্মচারীর কর্মস্থলে অনুপস্থিতি, সচিবালয়ে কর্মকর্তাদের রুমে হাতাহাতি, সচিবের রুম আটকিয়ে আন্দোলনসহ বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এমন উদ্যোগ নিচ্ছে। সংশোধিত আইনটি কার্যকর হলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কোনো সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত ছাড়াই আট দিনের নোটিশে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিতে পারবে। এই সিদ্ধান্তের জন্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মতামত বা পূর্বানুমতির প্রয়োজন হবে না।
এতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্তত পাঁচটি দায়িত্বশীল সূত্র আইন সংশোধনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে বাতিল হয়ে যাওয়া ‘সরকারি কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ, ১৯৭৯’-তে যা ছিল, সরকারি কর্মচারী আইনে তা প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আইনের খসড়াটি প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন পেলে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন হবে।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক সচিব আব্দুল আওয়াল মজুমদার জানান, ১৯৭৯ সালের বিশেষ বিধানটি অনেক কঠোর, কেউ কেউ কালো আইন বললেও বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রশাসন চালাতে গেলে এই আইনের প্রয়োজনীয়তা আছে।
তিনি বলেন, সরকার চাইলে চাকরিতে অনুপস্থিত কর্মচারীকে আট দিনের নোটিশে চাকরিচ্যুত করতে পারবে। এর জন্য পিএসসির মতামত বা তদন্তের প্রয়োজন হবে না বলেও জানান তিনি।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বর্তমান প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই ধরনের বিধান প্রয়োজনীয়। তবে, এই বিধান প্রয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জরুরি, যাতে কোনো কর্মচারী অন্যায়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin
কমেন্ট বক্স